ব্রিটেনে ২০২৩ সালে স্টাফ সমস্যার অন্যতম সমাধান হতে পারে দীর্ঘদিনের বৈধ কাগজপত্রহীনদের বৈধতাকরন ।

২০২৩ সালে স্টাফ সমস্যার অন্যতম সমাধান হতে পারে দীর্ঘদিনের বৈধ কাগজপত্রহীনদের বৈধতাকরন ।
সূত্র : বৈধ কাগজপত্রবিহীন অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করা Help The Helpless নামক একটি সংগঠন এই আহ্বান করেছেন ।
ব্রিটেনে ২০২৩ সালে স্টাফ সমস্যার অন্যতম সমাধান হতে পারে দীর্ঘদিনের বৈধ কাগজপত্রহীনদের বৈধতাকরন , বৈধ কাগজপত্রহীনদের বৈধতাকরনে লোক দেখানো আলোচনার সমালোচনা নয় চাই সঠিক পদক্ষেপ , এদের নিয়ে আলোচনা অনেক থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা লোক দেখানো এতে হয়তো অনেকেই তাদের পরিচিতি পাচ্ছেন কিন্তু দীর্ঘদিনের বৈধ কাগজপত্র হীনদের কোন লাভ হচ্ছে না ।
বাহির থেকে লোক না এনে দক্ষ দীর্ঘ দিনের বৈধ কাগজপত্র হীনদের বৈধতা দেয়ার উচিত , ব্রিটেনে দীর্ঘদিনের কাগজপত্রবিহীনদের বৈধতাকরণ হতে পারে স্টাফ সংকটের অন্যতম সমাধান , ব্রিটেন ব্রেক্সিট পরবর্তী সময়ে বিগত কয়েক দশকের মধ্যে বিভিন্ন সেক্টরে সবচেয়ে বেশী স্টাফ সংকটে ভুগছে অথচ অনেক দক্ষ লোক শুধুমাত্র বৈধতাকরণের অভাবে এই দুর্যোগের সময় ব্রিটেনের অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারছেনা , তাই আর কালক্ষেপণ না করে যারা ব্রিটেনে বৈধভাবে এসে বিভিন্ন কারনে কাগজপত্রবিহীন হয়ে বসবাস করছে তাদের দ্রুত বৈধতাকরণ করা উচিত ।
JCWI গত বছর এই বিষয়ে তাদের বিশেষ রিপোর্ট প্রকাশ করেছে
https://www.jcwi.org.uk/we-are-here-routes-to-regularisation-for-the-uks-undocumented-population
ব্রিটেনে বৈধকাগজপত্রবিহীনদের বৈধতাকরনের দাবীতে দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পাইন চলছে , ২০০৮ সালের ২০শে এপ্রিল এই দাবীতে প্রথম লন্ডনের ট্রাফলগর স্কোয়ারে এক বিরাট জনসমাবেশ হয়েছিল পরবর্তীতে ধারাবাহিকভাবে এমপিদের সাথে এই দাবীতে যোগাযোগ করা হচ্ছে , ২০১৮ সালে বিসিয়ের নেতৃত্বে হাউস অফ কমেন্সের সামনে বিক্ষোভ ও অনুষ্ঠিত হয় , অতি সম্প্রতি ২০২১ সালের ১৯ জুলাই ইপিটিশনের ডিবেটকে উপলক্ষ করে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে ,
https://petition.parliament.uk/petitions/567681
বিশেষ করে কয়েকশত লোকাল এমপিদের তাদের লোকাল জনগণের মাধ্যমে বৈধ কাগজপত্রহীন অভিবাসীদের বৈধতাকরণের সহায়তা করার অনুরোধ করে ইমেইল করা হয়েছে এবং এখনো তা অব্যাহত রয়েছে ইতিমধ্যে অনেক এমপি এই ইস্যুতে একমত পোষন করে সহায়তা করছেন যা ধারাবাহিক ক্যাম্পেইনের সফলতার ফসল।
ব্রিটেনে দীর্ঘদিন বৈধ কাগজপত্রহীন অভিবাসীরা এখন এই দুর্যোগের মুহুর্তে অপেক্ষার প্রহর গুনছে তাদের জন্য বিশেষ পরিকল্পনার। এটাই সঠিক সময় তাদের বৈধকরনের কারন এদের বৈধকরন করা হলে এরা ব্রিটেনের অর্থনীতিতে ভবিষ্যতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারব।
ব্রিটেনে বৈধ কাগজপত্রহীন অভিবাসীদের বৈধতাকরন করলে সরকারের কি লাভ হবে এবং তাদের বৈধতাকরন না করার কারনে সরকারের কি ক্ষতি হচ্ছে নিম্নে তার বিবরন দেয়া হলো :
দীর্ঘদিনের বৈধ কাগজপত্র হীন অভিবাসীদের বৈধতা দিলে সরকারের লাভ সমূহ :
১, বৈধ কাগজপত্রহীনদের বৈধতাকরনের আওতার নিয়ে আসলে প্রথমেই হোম অফিস ফী বাবদ বিপুল অর্থ আয় করতে পারবে ।
২, NHS সার্চ চার্জ হিসেবে বিপুল অর্থ সরকারী স্বাস্থ খাত আয় করবে ।
৩, সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে সরকারি রাজস্ব খাত এই খাতে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন বাড়বে ।
৪, এই অভিবাসীরা দীর্ঘদিন ব্রিটেন থাকার কারনে তারা প্রায় সবাই বিভিন্ন সেক্টরে দক্ষ তাই সুযোগ পেলে তারা তাদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ব্রিটেনে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারবে ।
বৈধ কাগজপত্রহীনদের বৈধতা না দেয়ায় সরকারের ক্ষতি সমূহ :
১, বৈধ কাগজপত্রহীনদের পিছনে ইম্মিগ্রেশন রেইড বা তাদের ধরার জন্য যে বাহিনী রয়েছে তাদের জন্য সরকারকে প্রতি বছর বিপুল অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে যা দেশের জনগনকে ট্যাক্সের অর্থ থেকে পরিশোধ করতে হচ্ছে ।
২, এই সমস্ত অভিবাসীদের রাখার জন্য বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টার রয়েছে যার ব্যয় বাবদ সরকার কে বিপুল অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে । বৈধ কাগজপত্রহীনদের বৈধতা দেয়া হলে সরকারের এই বিপুল পরিমান অর্থ সাশ্রয় হবে ।
বিশেষ মন্তব্য : উপরোক্ত বিষয়গুলি বিবেচনা করে দীর্ঘদিনের বৈধ কাগজপত্রহীন অভিবাসীদের যারা শুধুমাত্র বৈধভাবে ব্রিটেনে প্রবেশ করছেন এবং কোনো অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সহিত জড়িত নয় কিন্তু নানা পরিস্থিতির কারনে বৈধ কাগজপত্রহীন হয়ে গেছে তাদের জন্য বৈধতাকরন কার্যকর করা গেলে কাগজপত্রহীন অভিবাসীদের সমস্যা অনেকাংশে কমে যাবে এবং ব্রেক্সিট পরবর্তী সময়ে ব্রিটেনের অর্থনীতিতে এই অভিবাসীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে