#যুক্তরাজ্য

ভয়ংকর এক উদ্ভিত হগউইড।

যুক্তরাজ্যে দেখা মিলেছে ভয়ানক ধরণের হগউইড গাছের, যা শরীরে লাগলেই চামড়া পুড়ে যায়।

গত সপ্তাহে ব্রিটেনের চার বছরের একটি শিশু খেলতে খেলতে একটি আগাছায় শরীর লাগতেই অসুস্থ হয়ে পরে শিশুটি। প্রথমে শরীর চুলকাতে থাকে, আর এরপর লালচে হয়ে শরীরে ফোসকা পরতে শুরু করে। পরবর্তীতে শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করার পর পরিবারটি জানতে পারে শিশুটির শরীরে ভয়ানক হগউইড গাছ লেগেছিলো। আর এই কারনে শিশুটির শরীর পুড়ে গিয়েছে।

এদিকে শিশুটির এই ঘটনার পর ব্রিটেনের উদ্ভিদ বিজ্ঞানীরা নড়ে চড়ে বসেছেন। তারা বলছেন আমাদের সবারই এই আগাছা গাছটি চেনা উচিত। ছাতার মতো এই গাছটি উত্তর আমেরিকার একটি প্রজাতি। তবে ব্রিটেনের সাগরের পারে এই গাছটি দেখা যায়। ঠিক অনুরুপ একই রকম গাছ ব্রিটেনের গ্রীস্মে আশেপাশের সব জায়গাই দেখা যায়। তবে সেই হডইউডের সাথে দৈত্যাকার হগডইডের পার্থক্য রয়েছে।

ব্রিটেনের উদ্বিদ বিজ্ঞানীরা বলছেন, গত সপ্তাহে বল্টনে একটি স্কুল শিক্ষার্থীর শরীর পোড়ার ঠিক আগের মাসে ২২ মাসের একটি শিশুর শরীরে এই গাছ লাগার পর সেও মারাত্মক ভাবে আহত হয়।

যুক্তরাজ্যের পাবলিক হেলথ থেকে হগউইড আগাছা গাছটিকে দৈত্যকার গাছ হিসেবে বলা হয়েছে ২০১৩ সালে। তবে এই গাছটি সব জায়গায় দেখা যায়না বলে আশ্বস্ত করা হলেও বর্তমানে এসে এই গাছটি সম্পর্কে সবাইকে সচেতন হতে বলা হয়েছে।

এদিকে ব্রিটেনের নিজস্ব একটি হগউইড গাছ রয়েছে। যা শরীরের জন্য ক্ষতিকারক নয়। তবে দৈত্যাকার হগউইড গাছ শরীরের জন্য ক্ষতিকারক।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, চারপাশে যে হগউইস রয়েছে তার তুলনায় দৈত্যাকার হগউইডের পাতা বড় ও ফুল বড়। আর এর উচ্চতা ১ ফুট ৫ ইঞ্চির মতো হয়।

যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, যদি এই ভয়ানক গাছটি শরীরে লাগে তবে সাবান দিয়ে হালকা ভাবে সেই জায়গাটি ধুয়ে ফেলতে হবে। তারপর তা ঢেকে রাখতে হবে। যাতে করে সূর্যের আলো না লাগে। এরপর তাৎক্ষনিক ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।

আপনার চারপাশে যদি দৈত্যাকার হগউইড গাছ পাওয়া যায় তাহলে নিজে তা তুলে ফেলার চেষ্টা করবেন না। কাউন্সিলের সাথে যোগাযোগ করবেন।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *