#খেলাধুলা

হার দিয়ে শুরু বাংলাদেশের।

দুবাইয়ে রোহিত শর্মার ভারতের কাছে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মিশন শুরু করেছে নাজমুল হোসেন শান্তর বাংলাদেশ। নাজমুল বাহিনীর পরের দুই ম্যাচ পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে ২৪ ফেব্রুয়ারি নিউজিল্যান্ড ও ২৭ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের বিপক্ষে। ভারতের পরের ম্যাচ দুবাইয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২৩ ফেব্রুয়ারি।

ছয় বছর আগে, ২০১৮ সালে কবজিতে প্লাস্টার নিয়ে ব্যাটিং করেছিলেন তামিম ইকবাল।

দুবাইয়ে এশিয়া কাপের ওই ম্যাচটি জিতেছিল বাংলাদেশ। সাত বছর পর, গতকাল সেই দুবাইয়ে মাসল পুল নিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে সেঞ্চুরি করেন হৃদয়। চলতি টুর্নামেন্টে প্রথম টাইগার ক্রিকেটার হিসেবে সেঞ্চুরি করে ইতিহাসের পাতায় জায়গা নেন তাওহিদ। ব্যক্তিগত ৯১ রানে মাসুল পুল করে হৃদয়ের।

সেঞ্চুরি করতে পরের ৯ রান করেন খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। হৃদয়ের সেঞ্চুরির দিনে হাফ সেঞ্চুরি করেন জাকের আলি অনিক। ৩৫ রানে ৫ উইকেট পতনের পর ষষ্ঠ জুটিতে হৃদয় ও জাকের ২০৫ বলে ১৫৪ রান যোগ করে রেকর্ড গড়েন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দুজনের রেকর্ডগড়া জুটিতে ৪৯.৪ ওভারে ২২৮ রান করে বাংলাদেশ। ভারতের ডান হাতি পেসার মোহাম্মদ শামি আসরে প্রথম বোলার হিসেবে ৫ উইকেট নেন।

টাইগারদের স্কোর যখন ৪৬.৪ ওভারে ৮ উইকেটে ২১৬, তখন মাসল পুল করে হৃদয়ের। স্কোর বোর্ডে হৃদয়ের রান ৯১। সেখান থেকে সিঙ্গেল সিঙ্গেল করে ৯ রান যোগ করে সেঞ্চুরি পূরণ করেন ১১৪ বলে। ১১৮ বলে ১০০ রান করে আউট হন শেষ ওভারে পুল খেলে। ৩৪ ম্যাচে এটা তার প্রথম সেঞ্চুরি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে শাহরিয়ার নাফিস (১২৩*), তামিম ইকবাল (১২৮), সাকিব আল হাসান (১১৪) ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদেও (১০২*) পর সেঞ্চুরি করেন হৃদয়। ২৩ রানে অবশ্য জীবন পান তিনি। শূন্য রানে জীবন পাওয়া জাকের আলি ৬৮ রান করেন ১১৪ বলে ৪ চারে। ইনিংসের নবম ওভারের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে অক্ষারের বলে তানজিদ তামিম ও মুশফিকুর রহিম আউট হন। হ্যাটট্রিক বলে জাকেরের সহজ ক্যাচ মিস করে ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা করজোড়ে ক্ষমা চান অক্ষারের কাছে। জীবন পেয়ে জাকের জুটি গড়েন হৃদয়ের সঙ্গে। দুজনে ২০৫ বলে ১৫৪ রান যোগ করেন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে এটা রেকর্ড। ১৩১ রানের আগের রেকর্ড ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার মার্ক বাউচার ও জাস্টিন কেম্পের। হৃদয়-জাকেরের ১৫৪ রানের জুটি আবার ষষ্ঠ উইকেটে বাংলাদেশের সেরা।

২২৯ রানের টার্গেটে শুভমান গিলের অপরাজিত ১০১ রানে ভর করে ভারত জয় তুলে নেয় ৪৬.৩ ওভারে। গিল ১০১ রানের ইনিংস খেলেন ১২৯ বলে ৯ চার ও ২ ছক্কায়। লোকেশ রাহুল অপরাজিত ছিলেন ৪৭ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ৪১ রানে। উইনিং শটটি ছক্কা মারেন রাহুল।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *