সিলেটে কোভিড শনাক্ত যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের সাথে প্রশাসনের এ কি আচরণ !

(ছবি: ভয়েস অব সিলেট থেকে সংগৃহীত)
গত ২১শে জানুয়ারি যুক্তরাজ্য থেকে যাওয়া প্রবাসীদের কোরোনা পরীক্ষার ফলাফলে ২৫শে জানুয়ারি ২৮ জনের পজেটিভ এসেছে। এর পরপরই ২৮ জনকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে শহরের খাদিম নগরের ৩১ শয্যা বিশিষ্ট একটি হাসপাতালে।
আটকে পড়া যুক্তরাজ্য প্রবাসীরা জানান, সরকারী ভাবে এই অবকাঠামো কে হাসপাতাল বললে ও বাস্তবিক অর্থে এই বিল্ডিং হাসপাতাল হওয়ার কোনো যোগ্যতা রাখে না। সিলেটের স্থানীয় সাংবাদিক ভয়েস অব সিলেটের মঈনুদ্দিন মঞ্জুর ভাইরাল হওয়া একটা ভিডিও ক্লিপে দেখা যায়, চরম অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রাখা হয়েছে প্রবাসীদের। পরিবেশ এতোটাই অস্বাস্থ্যকর যে, টয়লেট ব্যবহারের সম্পূর্ণ অনুপযুক্ত। বাথরুম এতোটাই নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর যে ভিতরে ঢোকার পরিবেশ নাই। কোনো কর্মকর্তা, ডাক্তার, পরিচ্ছন্নতা কর্মী কাউকে পাওয়া যাচ্ছে। এই ২৮ জনের মধ্যে একটি ৮ মাসের বাচ্চা ও আছে। অভিযোগ উঠেছে এই বাচ্চার দুধ বানানোর গরম পানি পর্যন্ত দিচ্ছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এমন কি প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো সহযোগিতাই পাচ্ছেন না ভুক্তভোগীরা । এমতাবস্থায় প্রবাসীদের আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
যুক্তরাজ্য প্রবাসীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার কে প্রশ্ন করছেন, সরকার যদি যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের বাংলাদেশে আসতে নিরুৎসাহিত করতে চায়, তাহলে কেনো বিমান সার্ভিস এখনো বহাল রেখেছে ? নিয়ম অনুযায়ী যদি তাদের প্রাপ্য সুবিধাদি দিতে না পারেন তাহলে হাসপাতালে ভর্তির নামে এই হেনস্থা কেনো ? হাসপাতালের নামে এটা কি গোয়াল ঘর নয় ?
এমতাবস্থায় জানা গিয়েছে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার নাকি আবার কোরোনা পরীক্ষা করা হবে। এবং সেই ফলাফলের উপর ভিত্তি করে নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এছাড়া সম্প্রতি সরকার কোয়ারেন্টিনের সময় সীমা বাড়িয়ে ৪ দিনের বদলে ৭ দিন করেছে।