নীরব পরাজয়: যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় পাক-ভারত সংঘাতে অবসান

গত শুক্রবার মধ্যরাতে পাকিস্তান একটি বিস্ময়কর পদক্ষেপ নেয়—ভারতের পারমাণবিক অস্ত্রাগারসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনায় সুনির্দিষ্ট মিসাইল হামলা চালায়। এর আগে ভারত লাহোর ও রাওয়ালপিন্ডিতে অবস্থিত সামরিক অফিসারদের আবাসিক স্থাপনায় ড্রোন হামলা চালিয়েছিল। পাল্টাপাল্টি এই হামলার মাধ্যমে যখন পরিস্থিতি যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছায়, তখন দৃশ্যপটে প্রবেশ করে যুক্তরাষ্ট্র।
ভারত ও পাকিস্তান শেষ পর্যন্ত যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের, বিশেষ করে ওয়াশিংটনের গোয়েন্দা সংস্থা CIA-এর সক্রিয় ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানায়, CIA প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে পদক্ষেপ নিতে জোরালোভাবে আহ্বান জানায়।
সিএনএন-এর এক বিশেষ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে থাকা গোয়েন্দা তথ্য অনুসারে, যুদ্ধ আরও কয়েক ধাপ এগোলে তা পুরো দক্ষিণ এশিয়ায় বিপর্যয়কর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারত। যদিও অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন—এই সংকটময় মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের হঠাৎ সক্রিয় ভূমিকায় আসল উদ্দেশ্য কী ছিল?
বিশ্লেষকরা বলছেন, শুরুতে ভারত আগ্রাসী অবস্থানে থাকলেও শেষ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক চাপ এবং পাকিস্তানের পাল্টা কৌশলের মুখে নীরবে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে। দৃশ্যত, ভারত কৌশলগতভাবে দুর্বল এক পরিণতির মুখোমুখি হয়েছে।