#আন্তর্জাতিক

জাতিসংঘে গৃহীত প্রস্তাবে ক্ষুব্ধ ইসরাইল।

ফিলিস্তিন ইস্যুতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গৃহীত প্রস্তাবের নিন্দা জানিয়েছে ইসরাইল। প্রস্তাবটিকে ‘ঘৃণ্য’ বলে অভিহিত করেছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তবে প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিস্তিন। গৃহীত প্রস্তাবে ইসরাইলের দখলদারির কারণে ফিলিস্তিনিদের অধিকার কীভাবে ক্ষুন্ন হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে জাতিসংঘ। গত শুক্রবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে প্রস্তাবটি আনা হয়। প্রস্তাবটি ভোটাভুটির মাধ্যমে গৃহীত হয়।

প্রস্তাবটি ইসরায়েলের নতুন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর জন্য একটি চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। উগ্র ডানপন্থী নেতা নেতানিয়াহু গত বৃহস্পতিবার ইসরাইলের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। ক্ষমতা গ্রহণের পরই তিনি ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরে নতুন করে ইহুদি বসতি সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। আর নেতানিয়াহুর ক্ষমতা গ্রহণের এক দিন পরই জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের পক্ষে প্রস্তাব গৃহীত হলো।

গত শনিবার এক ভিডিও বার্তায় জাতিসংঘে গৃহীত প্রস্তাবের নিন্দা জানান নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, ইহুদি জনগণ তাদের নিজস্ব ভূমিতে দখলদার নয় বা তারা তাদের চিরকালীন রাজধানী জেরুসালেমে দখলদার নয়। জাতিসংঘের কোনো প্রস্তাব এই ঐতিহাসিক সত্যকে বিকৃত করতে পারে না।

নেতানিয়াহু বলেন, ইসরাইল এই ‘ঘৃণ্য সিদ্ধান্ত’ মানতে বাধ্য নয়। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ভোটকে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিস্তিন। জাতিসংঘে প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দেয় ৮৭টি দেশ। বিপক্ষে ২৪টি দেশ। আর ভোটদানে বিরত ছিল ৫৩টি দেশ।

ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের মুখপাত্র নাবিল আবু রুদেনেহ বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে চলমান অপরাধের জন্য ইসরায়েলকে জবাবদিহির মুখোমুখি করার সময় এসেছে। ফিলিস্তিনের গাজা নিয়ন্ত্রণকারী ইসলামপন্থী গোষ্ঠী হামাসের কর্মকর্তা বাসেম নাইম বলেন, দখলদার ইসরাইলকে আটকানো ও বিচ্ছিন্ন করার ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। নেদারল্যান্ডসের হেগভিত্তিক আইসিজে জাতিসংঘের শীর্ষ আদালত। বিভিন্ন দেশের মধ্যকার দ্বন্দ্ব মেটাতে কাজ করে থাকেন এই আদালত।

জাতিসংঘের সদস্যদেশগুলোর আইসিজের রায় মেনে চলার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে রায় বাস্তবায়নে জোরজবরদস্তি করার কোনো ক্ষমতা আদালতটির নেই।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *