#আন্তর্জাতিক

চীনের ভূমিকম্পে ৬৫ জনের প্রাণহানি।

চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে ৬৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। ২০১৭ সালের পর এটিই সেখানকার সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। ভূমিকম্পে প্রাদেশিক রাজধানী চেংদু ও দূরবর্তী প্রদেশগুলো কেঁপে ওঠে। সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের দেয়া বক্তব্যের বরাত দিয়ে আজ মঙ্গলবার চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ভূমিকম্পে ৬৫ জন নিহত হয়েছেন।

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের নিকটবর্তী কিছু সড়ক ও বাড়িঘর ভূমিধসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্তত একটি এলাকায় যোগাযোগব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন। তবে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে থাকা বাঁধ ও জলবিদ্যুৎ স্টেশনগুলোর কোনো ক্ষতি হয়নি বলে জানা গেছে। যদিও প্রাদেশিক সঞ্চালন লাইনের ক্ষতি হওয়ায় ৪০ হাজার গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘিœত হয়। চায়না আর্থকোয়েক নেটওয়ার্ক সেন্টার বলেছে, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল চেংদু থেকে ২২৬ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমের পাহাড়ি লুডিং শহরে। চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় সিচুয়ান প্রদেশে প্রায়ই ভূমিকম্প হয়ে থাকে। বিশেষ করে পশ্চিমের পাহাড়ি এলাকা ভূমিকম্পপ্রবণ।

দুই কোটি ১০ লাখ মানুষের বসবাস চেংদু শহরে। পরিস্থিতির বর্ণনা দিয়ে সেখানকার বাসিন্দা পেশায় পিআর কনসালট্যান্ট লরা লুও বলেন, ‘বহু লোকজন আতঙ্কে কান্নাকাটি শুরু করে দেয়। কুকুরগুলো ঘেউ ঘেউ করতে শুরু করে। এটা সত্যিই বেশ ভীতিকর ছিল।’ স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, লুডিং শহরে ভূমিকম্প এত বেশি অনুভূত হয় যে, কিছু মানুষের দাঁড়িয়ে থাকাটাও কঠিন হয়ে পড়ে। কিছু ভবনে ফাটল দেখা দেয়।

সিচুয়ানে ২০১৭ সালের আগস্টের পর এটাই সবচেয়ে বেশি মাত্রার ভূমিকম্প। ওই সময় আবা এলাকায় ৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এই প্রদেশে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে ২০০৮ সালের মে মাসে। ওয়েনচুয়ানে ৮ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে প্রায় ৭০ হাজার মানুষ নিহত হন এবং ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *