#আন্তর্জাতিক

ইসরায়েল ও আমিরাতের চুক্তি নিয়ে আরব বিশ্বে তোলপাড়

সংযুক্ত আরব আমিরাত ইহুদিবাদী ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ব্যাপারে সমঝোতায় স্মারকে স্বাক্ষর করেছে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইরান ও তুরস্ক। তুরস্ক মনে করে, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় সমঝোতা চুক্তিতে পৌঁছানোর এ ঘটনা ‘ফিলিস্তিনের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা’। অন্যদিকে এই চুক্তি ‘মুসলিম বিশ্বের পিঠে ছুরি’ বলে প্রতিবাদ জানিয়েছে ইরান।

তুরস্ক এবং ইরান আজ শুক্রবার পৃথক বিবৃতিতে ইসরায়েল-আমিরাতের শান্তিচুক্তির প্রতিক্রিয়ায় এমন মন্তব্য করে। তবে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে আমিরাতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রত্যাহার করা হবে বলে হুমকি দিয়েছেন।

ইস্তাম্বুলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেন, আবুধাবিতে দূতাবাস বন্ধ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থগিতের পরিকল্পনা বিবেচনা করছে তুরস্ক। ইসরায়েলের সঙ্গে আমিরাত সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চুক্তিতে পৌঁছানোয় এই সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে তার দেশ।

এদিকে ফিলিস্তিনি জাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে সংযুক্ত আরব আমিরাত ইহুদিবাদী ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ঘোষণা দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছে ফিলিস্তিন। এ ঘটনায় রামাল্লায় নিযুক্ত আমিরাতের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে ফিলিস্তিনি স্বশাসন কর্তৃপক্ষ।

এর আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং আবুধাবির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ আল নাহিয়ান এক যুক্ত বিবৃতিতে জানান, এই ঐতিহাসিক অগ্রগতি মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির অগ্রযাত্রায় সাহায্য করবে। তাঁরা জানান, দুই দেশের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্কের বিনিময়ে ইসরায়েল পশ্চিম তীরের বিশাল ফিলিস্তিনি এলাকা ইসরায়েলের অংশ করে নেওয়ার কাজ আপাতত স্থগিত রাখবে

উল্লেখ্য, ইসরায়েলের সঙ্গে এত দিন পর্যন্ত কোনো উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্রের কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। তবে ওই অঞ্চলে ইরানের প্রভাব বাড়তে থাকায় উদ্বিগ্ন সংযুক্ত আরব আমিরাত ইসরায়েলের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ বাড়াচ্ছিল। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় সমঝোতা চুক্তিতে পৌঁছালো দুই দেশ।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *