#গ্রেটার ম্যানচেস্টার

ম্যানচেস্টারস্থ সহকারী বাংলাদেশ হাইকমিশনে সেবা গ্রহীতাদের দুর্ভোগ ও উদাসীন কর্তৃপক্ষ !

সহকারী বাংলাদেশ হাই কমিশন ম্যানচেস্টার। নর্থ-ওয়েস্ট সহ আশে পাশের একটা বিরাট অঞ্চলের জন্যে বাংলাদেশীদের একমাত্র ভরসার জায়গা। যেখানে প্রতিদিন অসংখ্য সেবা গ্রহীতা আসেন বিভিন্ন কাজ ও সমস্যা নিয়ে।অনেকদিন ধরেই সেবা গ্রহীতাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার কথা শোনা গেলেও আজকে সরজমিনে গিয়ে দেখা গেলো অনেক অভিযোগের সত্যতা আছে।

অভিযোগের অন্যতম ও বিব্রতকর কারণ ছিলো, টয়লেটে লক নাই। একটা হাই কমিশনের টয়লেটে কিভাবে লক থাকে না সেটা নিয়ে আগত সেবা গ্রহীতারা বিস্ময় প্রকাশ করেন। একই সাথে হিটিং সিস্টেম কাজ করে না। রেডিয়েটর এতোই মান্ধাতার আমলের যে, হাত দিয়ে তাপ অনুভব করার চেষ্টা করলে দেখা যায় যৎসামান্য কিছু তাপ বের হয়।

আগত অনেক মানুষ হিটিং সিস্টেম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ওল্ডহ্যাম থেকে আগত মিস্টার মিয়া বলেন, এই বিল্ডিং এর মালিক ইকবাল আহমেদ । যেহেতু হাই কমিশন এটা উনার কাছ থেকে ভাড়া নিয়েছে তাই হাই কমিশনের উচিৎ ইকবাল সাহেবের সাথে কথা বলে এই সমস্যার দ্রুত সমাধান করা। এখানে উল্লেখ্য, বর্তমান হাইকমিশনের ভাড়া নেওয়া এই বিল্ডিং বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সীমার্ক ও ইবকো ব্রান্ডের প্রতিষ্টাতা চেয়ারম্যান জনাব ইকবাল আহমেদ এমবিই এর ফ্যাক্টরী সি মার্কের মূল অংশের একটা অংশ। এবং তিনি এর মালিক বা ল্যান্ড লর্ড।

এছাড়াও আরও সমস্যার মধ্যে রয়েছে নামাজের জায়গার সংকট, নেই ওযুর ব্যবস্থা। এখানে আগত ৯০ভাগের ও বেশী মানুষ মুসলমান। যাদের মধ্যে আছেন অনেক বয়োবৃদ্ধ ও নামাজী। কিন্তু সে পরিস্থিতি বিবেচনায় নেই নামাজ ও ওযুর সুব্যবস্থা।

এই বিষয়ে হাইকমিশনের দায়িত্বে থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মহিলা কর্মকর্তা কে প্রশ্ন করা হলে, তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেন নাই। তিনি বলেন পরে এসে মাহমুদা খানম নামে একজন কর্মকর্তার সাথে কথা বলতে তিনি ভালো ব্রিফ করতে পারবেন।

হাই কমিশনের বাহিরে একজন তরুণ কে সেবা নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি সন্তুষ্ট প্রকাশ করে বলেন, উইন্ডো সার্ভিস ভালো কিন্তু ওয়েবসাইট কে আধুনিকায়ন ও যুগোপযোগী করা প্রয়োজন।

 

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *