#গ্রেটার ম্যানচেস্টার

ট্রাফোর্ড বারায় করোনা সংক্রমণ এখনো সর্বোচ্চ !

গ্রেটার ম্যানচেস্টারের ট্রাফোর্ড বারায় আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। অক্টোবরের ১৬ তারিখ পর্যন্ত এই বারায় কোভিডে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬৩২.৬ (প্রতি লাখে) ।

সেপ্টেম্বর থেকে এই বারায় ক্রমাগত বাড়তে থাকে করোনা সংক্রমণ, যা অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে এসে সর্বোচ্চে পৌঁছে। অক্টোবরের ৭ তারিখে ট্রাফোর্ড বারায় প্রতি লাখে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৮৩২.৬ । গত দুই সপ্তাহে ২৫ শতাংশ কমে আসলেও, পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ডের সূত্রমতে, এর পরিমান শুধু রিজনে নয় পুরো দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ।

সংক্রমণের দিক দিয়ে সবচেয়ে এগিয়ে কম বয়সীরা। ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত ১৬ বছরের নিচের ছেলে মেয়েদের মধ্যে প্রায় ৩,০০০ জনের দেহে এই ভাইরাস পাওয়া গেছে। সংক্রমণ রোধে ট্রাফোর্ড বারা ইতিমধ্যেই বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে যার মধ্যে অন্যতম হলো, সকল কেয়ার হোমে ১৬ বছরের নিচের কাউকে প্রবেশ করতে নিষেধ করা হয়েছে।

পাবলিক হেল্থ ইংল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হেলেন গলিন্স সংক্রমণরোধে বারার সকল প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষক, কর্মচারী ও অভিভাবকদের মাস্ক পরিধানের উপদেশ সম্বলিত নির্দেশনা প্রেরণ করেছেন। নতুন করে লকডাউন এড়াতে এই নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

গ্রেটার ম্যানচেস্টার কম্বাইন্ড অথরিটির স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা প্রধান স্যার রিচার্ড লিজ বলেছেন ‘ট্রাফোর্ড বারায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বিস্তার ঘটছে স্কুলগুলি থেকে। শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে খুব দ্রুত ছড়াচ্ছে বারার অন্যান্য বাসিন্দাদের মধ্যে। সম্ভাব্য পরিস্থিতির অবনতি রোধকল্পে কাউন্সিলের কর্তা ব্যক্তিরা কিছু নিয়ম নীতি পুনরায় প্রবর্তনের চিন্তা ভাবনা করছেন, যেমন – স্কুলের মধ্যে চলাচলের সময় মাস্ক পরিধান করা,অভিভাবকদের স্কুলের সীমানায় প্রবেশের সময় মাস্ক পড়ে থাকতে অনুরোধ করা, স্কুল পরিদর্শকদের মাস্ক পড়ে থাকতে উদ্ভুদ্ধ করা ইত্যাদি।’

বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরা বাড়িতে অন্যের সংস্পর্শে এসে কোভিডে আক্রান্ত হচ্ছে এবং পরে তা ছড়িয়ে পড়ছে সহপাঠীদের মধ্যে। তাই স্কুলগুলি শিক্ষার্থীদের নিয়মিত লিটারেল ফ্লো টেস্ট করে স্কুলে আসতে বলছে, যাতে করে ক্লাসের মধ্যে সংক্রমণ রোধ করা যায়। স্কুল কর্তৃপক্ষ কোন মতেই চান না যে, করোনা ভাইরাসের কারণে আবারো কোন লকডাউন পরিস্থিতির উদ্ভব হউক।

গ্রেটার ম্যানচেস্টারের অন্যান্য বারাগুলির মধ্যে স্টকপোর্ট, টেমসাইড ও ওল্ডহ্যামে করোনা সংক্রমণ অনেকটা কমতির দিকে। বাকি বারাগুলিতে অবস্থা অপরিবর্তীত আছে। পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ডের শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গ্রেটার ম্যানচেস্টারের সম্মিলিতভাবে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের অনুপাত ৪১১.১ (প্রতি লাখে) ।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *