গ্রেটার ম্যানচেস্টারে ক্লিন এয়ার জোন ক্যামেরার পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু।

দূষণমুক্ত পরিবেশ বান্ধব নগর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে যুক্তরাজ্য সরকার বেশ কয়েক বছর আগেই ঘোষণা করেছিল যে, প্রতিটি সিটিকেই ক্লিন এয়ার জোনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। অর্থাৎ যেসকল যানবাহন উচ্চ মাত্রার কার্বন নির্গত করে, তাদেরকে তালিকাভুক্ত নগরীর রাস্তা ব্যবহার করতে হলে নির্দিষ্ট অংকের মাশুল গুনতে হবে। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গ্রেটার লন্ডন, বার্মিংহাম ও বর্নমাউথ সিটি কাউন্সিল ২০২০ সাল থেকেই ক্লিন এয়ার জোন বাস্তবায়িত করে ফেলেছে। এবার এই তালিকায় যুক্ত হলো গ্রেটার ম্যানচেস্টারের ১০টি কাউন্সিল।
গত কয়েকদিন ধরেই গ্রেটার ম্যানচেস্টারের কিছু কিছু রাস্তায় নতুন একটি সাইনপোস্ট দেখা যাচ্ছে, যেখানে সবুজ মেঘের মধ্যে ‘সি’ অক্ষরটি মুদ্রিত আছে। নিচে লাল অক্ষরে লেখা আছে ক্লিন এয়ার জোন এবং ঠিক তার নিচে রোড ক্যামেরা সাইন দেয়া আছে। অর্থাৎ উচ্চ মাত্রার কার্বন নির্গতকারী যেকোন যানবাহনকে মাশুল গুনতে হবে ক্লিন এয়ার জোন ব্যবহার করলে। রোড ক্যামেরা স্বয়ংক্রিয় ভাবে প্রতিটি গাড়ীর রেজিস্ট্রেশন থেকে জেনে নিবে যে, এই বাহনটি মাশুলের আওতায় পড়ে কি না। চালক তার গাড়ীর প্রকৃতি অনুযায়ী অনলাইনের মাধ্যমে জেনে নিতে পারবেন মাশুলের পরিমান। নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে অথবা যেকোন পে-স্টেশনে গিয়ে পরিশোধ করা যাবে। প্রাথমিক পর্যায়ে শুধুমাত্র বাণিজ্যিক পরিবহনগুলি এই মাশুলের আওতাভুক্ত থাকবে। ব্যক্তি পর্যায়ের গাড়িগুলোকে কোন মাশুল দিতে হবে না।
ক্লিন এয়ার জোনে গাড়ী চলনার জন্যে দৈনিক হারে মাশুল গুনতে হবে। প্রস্তাবিত মাশুলের হার যথাক্রমে- ভারী পণ্যবাহী লরি ও ট্রাকের জন্যে ৬০ পাউন্ড, কোচ/বাস / ভ্যান ১০ পাউন্ড এবং ট্যাক্সি ও মিনিক্যাবের জন্যে ৭.৫০ পাউন্ড দৈনিক হারে পরিশোধ করতে হবে।
গ্রেটার ম্যানচেস্টার ট্রান্সপোর্ট অথরিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এখনি গাড়ীচালক বা ব্যবসায়ীদের আতংকিত হবার কোন কারণ নেই। বিষয়টি বর্তমানে পরীক্ষামূলক পর্যায়ে আছে। সবকিছু ঠিক ঠাক থাকলে ২০২২ সালের মে মাস হতে ক্লিন এয়ার জোন মাশুল কার্যকর করা হবে।