#গ্রেটার ম্যানচেস্টার

গ্রেটার ম্যানচেস্টারের গণপরিবহনের সংখ্যা হ্রাস পেতে পারে।

করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়ান্ট অমিক্রনের প্রাদুর্ভাব যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে করে সমস্ত দেশের মতো গ্রেটার ম্যানচেস্টারও যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। গত সপ্তাহে সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বেশ কিছু নতুন স্বাস্থ্যবিধি আরোপ করা হয়েছে যার মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে ঘর থেকে কাজ করা। সমস্ত দেশের কর্মস্থানগুলিতে সরকারের নতুন নীতিমালা অনুযায়ী সরাসরি কাজের পরিধী কমিয়ে ঘর থেকে কাজ করার নিৰ্দেশনা দেয়া হয়েছে। যে সকল কাজ ঘর হতে করা সম্ভব, তাহা ঘরে থেকে করার নির্দেশনা ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলো তাদের কর্মচারীদেরকে দিয়ে দিয়েছে। এতে করে অফিসমুখী যাত্রীর প্রায় ৪৫% হ্রাস পাবে।

গ্রেটার ম্যানচেস্টারের বাস অপারেটররা বলছে, হ্রাসকৃত যাত্রীদের সাথে সামঞ্জস্য রেখে তাদেরকেও প্রায় ৫০% বাস রোড থেকে তুলে নিতে হবে। পাশাপাশি ট্রাম ও ডিস্ট্রিক্ট লাইন ট্রেনগুলিও তাদের সংখ্যা কমিয়ে দিবে।

নর্দান রেলের রিজিওনাল ডিরেক্টর ক্রিস জ্যাকসন বলেন, গত সপ্তাহ পর্যন্ত তারা সোমবার থেকে শুক্রবার প্রতিদিন ৮০,০০০ যাত্রীকে সেবা দিয়েছেন, যার পরিমান শনি ও রবিবারে প্রায় ১২৫,০০০ ছিলো। কিন্তু সরকারের নতুন স্বাস্থ্যবিধির কারণে তাদের যাত্রী সংখ্যা অর্ধেকে নেমে আসবে বলে তিনি মনে করেন। যার ফলশ্রুতিতে নর্দান রেলওয়ে সোমবার ১৩ ডিসেম্বর থেকে নতুন সময়সূচি ঘোষণা করছে, যেখানে অনেক নিয়মিত রুট বন্ধ থাকবে। পরিস্থিতি বুঝে সময়সূচির পরিবর্তন অব্যাহত থাকবে।

এছাড়া অন্যান্য দূর পাল্লার রেল কোম্পানিগুলিও তাদের সেবার পরিধী সীমিত করছে। আগামীতে করোনা পরিস্থিতি ভালো হলে ট্রেনের সংখ্যাও বাড়বে।

গ্রেটার ম্যানচেস্টার ট্রান্সপোর্ট কমিটি বলছে, উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমার যথেষ্ট সচেষ্ট আছি। আগামীতে ট্রান্সপোর্ট অপারেটরদের সাথে বসে যাত্রী সেবার মান ও চাহিদা নিশ্চিত করার সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাবো।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *