বিমান কে কী ইচ্ছে করে অকার্যকর করার চেষ্টা চলছে ?

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স নিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে প্রায়ই নানা ধরনের অভিযোগ, সমস্যা এবং সমাধানের প্রস্তাব উঠে আসে। দীর্ঘদিন ধরে এই প্রতিষ্ঠানটি মুনাফার তুলনায় অনেক বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। তবে এটিকে “অকার্যকর করার পায়তারা” বা ষড়যন্ত্রের বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা হয়।
কিছু সম্ভাব্য কারণ যা এ ধরনের ধারণার জন্ম দেয়:
1. অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতি:
• বিমানের পরিচালনা এবং নীতিমালার দুর্বলতা প্রায়শই সমালোচনার মুখে পড়ে। দুর্নীতি, অনিয়ম ও অদক্ষ পরিচালনার কারণে প্রতিষ্ঠানটি আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে।
2. রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ:
• রাজনৈতিক প্রভাব ও নিয়ন্ত্রণ অনেক সময় প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করে। এর ফলে কার্যক্রমে স্বচ্ছতা এবং পেশাদারিত্ব ব্যাহত হয়।
3. বেসরকারি খাতের সঙ্গে প্রতিযোগিতা:
• বিমান বাংলাদেশের প্রাইভেট এয়ারলাইন্সগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে সমস্যার সম্মুখীন হয়। অনেকে মনে করেন, সরকারি সুবিধা থাকা সত্ত্বেও এর সেবার মান উন্নত না হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটি দুর্বল হয়ে পড়ছে।
4. অপর্যাপ্ত রুট ও সেবার মান:
• সঠিক পরিকল্পনার অভাবে লাভজনক রুটে সেবা সম্প্রসারণ করা হয় না। একইসঙ্গে সেবার মান নিয়ে যাত্রীদের অসন্তুষ্টি রয়েছে।
5. ষড়যন্ত্রের অভিযোগ:
• কিছু মহল মনে করেন, বিমানের ক্ষতি করে বেসরকারি খাতকে লাভবান করার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে এই প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমে বাধা দেওয়া হতে পারে।
সমাধানের প্রস্তাব:
1. দক্ষ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠা করা।
2. সেবার মান উন্নয়ন ও রুট সম্প্রসারণ।
3. স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে প্রযুক্তির ব্যবহার।
4. রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত স্বাধীন পরিচালনা নিশ্চিত করা।
5. বেসরকারি খাতের সঙ্গে টেকসই প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করা।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স দেশের গর্ব এবং জাতীয় পতাকাবাহী সংস্থা। এটিকে লাভজনক ও কার্যকরী প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং সরকারকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।