#সম্পাদকীয়

বাংলাদেশ ২০২৫: সংস্কার, নির্বাচন, সংশয়,সংকল্প

বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ২০২৪ সালের আগস্টে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং ভারতে নির্বাসনের পর দেশটিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। ছাত্রদের নেতৃত্বে দুর্নীতি ও স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে ব্যাপক আন্দোলনের ফলে এই পরিবর্তন ঘটে, যেখানে সহিংসতায় সরকারি তথ্য মতে ৮৬৩ জনেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে।

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার, নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে, দেশকে স্থিতিশীল করার এবং গণতান্ত্রিক নির্বাচনের পথে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে। এই সরকারে ছাত্র প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ইউনুস জানিয়েছেন, নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার এবং রাজনৈতিক ঐক্যমত নিশ্চিত করার পর ২০২৬ সালের শে জুন-জুলাই নাগাদ নির্বাচন হতে পারে। তবে নির্বাচন নিয়ে সংশয় প্রকাশ শুরু করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বি এন পি )। ইতিমধ্যে দলের নেতারা অসন্তুষ প্রকাশ করছেন। জামায়াত ইসলামী ও সমন্বয়করা সরকারের সমর্থনে থেকে সরকারকে শক্তি জাগিয়ে যাচ্ছে। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে ৩১ শে ডিসেম্বরে একটি ঘোষণা পাঠ কে কেন্দ্র করে সরকারের সাথে ছাত্র সমন্বয়কদের বিরোধ প্রকাশ্যে এসেছে এবং সরকার ও বেশ নমনীয় হয়ে তাদের সাথে একমত পোষন করেছে তবে শেষ পর্যন্ত এটা কতোটুকু বেগবান থাকবে সেটা ও বেশ সন্দেহের অবকাশ রাখে।

তবে সরকার বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন তা জানিয়ে ও সংস্কার প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছেন । একদিকে বিচার দাবি করা হচ্ছে, অন্যদিকে আগের সরকারের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের খবর উদ্বেগ তৈরি করেছে। গণআন্দোলনের বার্ষিকী উপলক্ষে হাজারো মানুষ মিছিল করেছে এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিচার ও তার আওয়ামী লীগ দল নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে। আওয়ামলীগের পক্ষ থেকে দল কে পুনর্গঠন করার কোনো প্রক্রিয়া দেখা যাচ্ছে না।

রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জন, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ নির্বাচন দিকে তাকিয়ে এখন পুরো বাংলাদেশ।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *