#সম্পাদকীয়

আসুন ভালো কে উৎসাহিত করতে শিখি ..!

কোন দেশ, জাতি বা সমাজ কখনো সু-গঠিত থাকেনা, একে নির্মাণ করতে হয়। সভ্যতা আপনা আপনি আসেনা , একে স্থাপন করতে হয়। শৃঙ্খলা স্বয়ংক্রিয় ভাবে স্থান দখল করেনা, একে অভ্যাস করতে হয়। সততা নিয়ে কেউ জন্মায় না, একে চর্চা করতে হয়।

গত ৫০ বছরে স্বাধীন বাংলাদেশে যারাই রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসেছেন, কেউই ভুল ত্রুটির উর্ধে ছিলেন না। দলীয় অনুশাসনের অভাবে, স্বজন প্রীতির আদিখ্যেতার কারণে এবং ব্যক্তিগত লিপ্সা চরিতার্থ করার লক্ষ্যে সব দলই জাতীয় স্বার্থকে পরাভূত করেছে। এর মধ্যেও অনেক ভালো কাজও হয়েছে।

আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে সরকার চালানো খুব একটা সহজ কাজ নয়, যেখানে নিয়মাবর্তীতার কোন বালাই নেই। রাষ্ট্রীয় প্রত্যেকটি দপ্তরে যেখানে দুর্নীতির আধিক্য, সেখানে হঠাৎ করে কোন সরকারই পরিচ্ছন্নাতার অভিযান চালাতে পারেনা। নির্বাচিত সরকারের প্রথম দুই বছরই চলে যায় পূর্ববর্তী সরকার দ্বারা সৃষ্ট জটিলতা এবং দাপ্তরিক কাঠামো বুঝতে বুঝতে। পরের দুই বছর চলতে থাকে নতুন পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং পূর্ববর্তী অসম্পূর্ন কার্যাদি পর্যবেক্ষণ। শেষের এক বছর সরকার ব্যস্ত হয়ে পড়ে দলীয় সাংগঠনিক কার্যক্রম ও পরবর্তী নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে।
পুনরায় নির্বাচিত হলে কিছু কার্য উদ্ধার হয়, নতুবা আবারো সেই একই ঘূর্ণায়ন প্রক্রিয়া চলতে থাকে।

ভালো কিছুকে মূল্যায়ন করাকে দলীয় সমর্থন দেয়া বলে না। দুৰ্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি যে, আমরা সকল মতামতকে রাজনৈতিক মানদন্ডে তুল্য করি। আজ পর্যন্ত আমি কোন বিরোধী দলকে সরকারের প্রশংসা করতে দেখিনি ! সরকারের সকল পদক্ষেপই যদি বৈরী হয়, তবে যারা ধিক্কার জানাচ্ছেন তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত হয় কিভাবে ? বিরোধী নেতারা কখনো সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে উন্নয়নের পথ সুগম করার উদারতা দেখিয়েছেন কি ? নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার সাথে সাথেই অন্যান্য দলগুলি সরকার বিরোধী আন্দোলের যে স্ফুলিঙ্গ তৈরী করে, তাই পরবর্তীতে আগুনের লেলিহান শিখা হয়ে সকল উন্নয়ন কর্মকান্ডের ধ্বংসের কারণ হয়ে দাড়ায়। এবং এই কারণেই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাধররা নিজেদের অস্তিত্ব সুরক্ষিত রাখতে নানান নিপীড়ণের পথ বেছে নেন।

ইতিহাস ঘাঁটলে এমন অনেক রাষ্ট্র নায়কের অন্ধকার বৃত্তান্ত সামনে আসবে যারা আধুনিক ও সু সংগঠিত দেশ উপহার দিয়ে গেছেন। রাজনৈতিক মতাদর্শ ভিন্ন হতেই পারে, কিন্তু বৃহত্তর স্বার্থে যা হচ্ছে তাকে অবজ্ঞা করা নিজের পায়ে কুড়াল মারারই সামিল। দেশ ও জাতির কল্যানে আমরা অন্তত সেই সহমর্মীতাটুকু প্রদর্শন করি।

সৈয়দ মিনহাজুল ইসলাম (শিমুল)
নির্বাহী সম্পাদক।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *