#দেশের খবর

টিকিট প্রত্যাশীদের কমলাপুরে দীর্ঘলাইন।

পবিত্র ঈদুল আজহার ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হবে আগামীকাল শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে। কিন্তু ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে টিকিটযুদ্ধ। বৃহস্পতিবার রাতেই কমলাপুর রেলস্টেশনে টিকিটপ্রত্যাশীদের দীর্ঘলাইন লেগে গেছে।

টিকিট কাউন্টারের সামনে অনেকে লাইনে দাঁড়িয়েছেন। অনেকে ভিড় করে রয়েছেন। উদ্দেশ্য একটাই, সকালে বিক্রি শুরু হলেই সবার আগে যেন টিকিট হাতে পান। এর জন্যই সারারাত স্টেশনেই কাটাবেন তারা।

টিকিটপ্রত্যাশী অনেকেই জানাচ্ছেন, সারারাত স্টেশনে কাটিয়েও যদি টিকিট পান, তাহলে স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে পারবেন। সেই আশা থেকেই এত কষ্ট।

তারা আরও জানান, সবাই যদি সকালেই আসত টিকিটের জন্য, তাহলে এত কষ্ট করতে হত না। এখন আগে থেকেই লাইন শুরু হয়ে গেলে টিকিট পাওয়ার জন্য এই কষ্ট করতেই হবে।

অনেকে এও বলছেন, ঈদের ট্রেনের টিকিটের চাহিদা থাকে আকাশ ছোঁয়া। তাই আগের রাত থেকেই যাত্রীরা লাইন ধরে বসে থাকেন কাউন্টারে।

শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে কাউন্টার ও অনলাইনে ঈদের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হচ্ছে। রাজধানীর ছয়টি স্থানে অর্ধেক টিকিট এবং বাকি অর্ধেক রেলের ওয়েবসাইট ও অ্যাপে পাওয়া যাবে। শুক্রবার বিক্রি হবে ৫ জুলাইয়ের ট্রেনের টিকিট।

ঢাকার কমলাপুর থেকে প্রতিদিন ৩৪ জোড়া নিয়মিত আন্তঃনগর এবং ঈদের তিন দিন আগে থেকে দুটি স্পেশাল ট্রেন চলবে ঈদযাত্রায়। আন্তঃনগরে আসন সংখ্যা ২৬ হাজার ৭১৩টি।

কমলাপুর থেকে উত্তরবঙ্গের ট্রেনের টিকিট দেওয়া হবে। কমলাপুরের শহরতলী প্ল্যাটফর্মে রাজশাহী ও খুলনার, বিমানবন্দর স্টেশনে চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীর, তেজগাঁওয়ে ময়মনসিংহ, জামালপুরের, ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে নেত্রকোনা ও মোহনগঞ্জের, ফুলবাড়িয়া স্টেশন থেকে সিলেট ও কিশোরগঞ্জগামী আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি হবে।

১০ জুলাই ঈদুল আজহা উদযাপন করা হবে। এবারের ঈদে ৮ জুলাই শুক্রবার থেকে ১১ জুলাই সোমবার পর্যন্ত চার দিন সরকারি ছুটি। তাই শেষ কর্মদিবস ৭ এবং ছুটির প্রথম দিন ৮ জুলাইয়ের ট্রেনের টিকিটের চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকবে। ওই দুইদিনের টিকিট ৩ ও ৪ জুলাই বিক্রি হবে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *