#দেশের খবর

আবারও বিয়ের পিঁড়িতে সোহেল তাজ।

সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজীম আহমদ সোহেল তাজ আবারও বিয়ে করেছেন। বেশ কয়েকদিন আগে রাজধানীতে অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ৫৫ বছর বয়সী সোহেল তাজ বাগদান সম্পন্ন করেন। পাত্রী শাহনাজ পারভীন শিমু, যিনি “আয়রন গার্ল” হিসেবে পরিচিত।

এবার প্রকাশ্যে এলো তাদের বিয়ের ফটোশুটের ছবি। ছবিগুলো প্রকাশ করেছে ওয়েডিং ফটোগ্রাফি প্রতিষ্ঠান ড্রিম ওয়েভার। প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার ও প্রধান ফটোগ্রাফার মো. মাকসুদুর রহমানও তার ওয়ালে ছবিগুলো শেয়ার করে জানিয়েছেন, সোহেল তাজ ও শাহনাজ পারভীন শিমুর বিয়ের ফটোশুট করার কথা।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) দুজনের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে সোহেল তাজের বিয়ের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। বিয়ের সমস্ত আয়োজন ছিল রাজধানীর বনানীর একটি রেস্তোরাঁয়। একটি ভিডিওতে মালাবদল করতে দেখা যায় সোহেল তাজ ও শিমুকে। শিমুর বিয়ের পোশাকের সঙ্গে থাকা ওড়নায় লেখা ছিল “সোহেল তাজের বৌ শিমু”।

এর আগে, ধানমন্ডিতে নিজের ফিটনেস সেন্টার ইন্সপায়ারে হাস্যোজ্জ্বল ভঙ্গিতে হাঁটু গেড়ে বসে তার ফিটনেস সেন্টারের ট্রেইনার শাহনাজ পারভীন শিমুর হাতে আংটি পরিয়ে বাগদান সম্পন্ন করেন সোহেল তাজ।

সে সময় বাগদানের সত্যতা নিশ্চিত করে সোহেল তাজের সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী আবু কাউছার জানিয়েছিলেন, আমিও বাগদানের সময় উপস্থিত ছিলাম। এ সময় সোহেল তাজের ছেলে ব্যারিস্টার তুরাজ তাজ, ছেলের বউ, নাতিসহ বন্ধু ও ফিটনেস সেন্টারের সবাই উপস্থিত ছিলেন। বাগদানের সেই ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভাইরালও হয়।

জানা গেছে, ঠাকুরগাঁওয়ের মেয়ে শিমু মা ও দুই ভাইকে নিয়ে ঢাকায় বসবাস করেন। দীর্ঘদিন ধরে একসঙ্গে কাজ করার সুবাদে সোহেল তাজের সঙ্গে তার সখ্যতা গড়ে ওঠে। তারই ধারাবাহিকতায় উভয় পরিবারের সম্মতিতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া।

বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী শহিদ তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে সোহেল তাজ ২০০১ সালের নির্বাচনে কাপাসিয়া থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন । ২০০৮ সালে একই আসন থেকে সংসদ সদস্য হন। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি। একই বছরের ৩১ মে মন্ত্রিসভা থেকে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি পদত্যাগ করেন। ২০১২ সালের ২৩ এপ্রিল সংসদ সদস্য পদও ছাড়েন। এরপর রাজনীতি থেকে অনেকটাই দূরে রয়েছেন সোহেল তাজ। কয়েক বছর ধরে ফিটনেসের দিকে তিনি বেশি মনোযোগী।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *