#সিলেট বিভাগ

বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী জনাব কাপ্তান মিয়া আর নেই !

প্রাচীনতম বিদ্যাপীঠ, ঐতিহ্যবাহী মুরারিচাঁদ কলেজ, সিলেট-এর প্রাক্তন হেড ক্লার্ক, সর্বজন শ্রদ্ধেয় বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী জনাব কাপ্তান মিয়া আর আমাদের মাঝে নেই!
ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন…!
আজ ৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ রোববার সকাল পৌনে ১০টায় তিনি সিলেট মহানগরীর চারাদিঘির পাড় (আল আমিন-৫) নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি বার্ধক্যজনিত শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগছিলেন, মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ১০২ বছর।
১৯৪০ সালে কৃতিত্বের সাথে মেট্রিকুলেশন পাশ করার পর মরহুম কাপ্তান মিয়া কয়েক বছর বৃটিশ আর্মিতে চাকরি করেন। ১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান ভাগ এবং এ অঞ্চলে বৃটিশ শাসনের অবসান হলে সেনাবাহিনীর চাকরি ছেড়ে তিনি করনিক পদে মুরারিচাঁদ কলেজে যোগদান করেন। ইংরেজি ভাষা জ্ঞানের উপর দখল থাকায় অল্প সময়েই তিনি এম.সি. কলেজের অফিসিয়্যাল কাজে খ্যাতি অর্জন করেন। তিনি ছিলেন এম. সি. কলেজের ডাক সাইটে হেড ক্লার্ক। ১৯৪৭ সালে তিনি এম. সি. কলেজে যোগদান করে দীর্ঘদিন প্রধান সহকারী (হেডক্লার্ক) হিসাবে সফলতার সাথে কাজ করে ১৯৮৩ সালে ৩৭ বছরের কর্মজীবনের ইতি টেনে অবসরোত্তর ছুটি গ্রহণ করেন। সুদীর্ঘ কর্মজীবনে জনাব কাপ্তান মিয়া এম. সি. কলেজের যে দশজন প্রিন্সিপালের অধীনে কাজ করেন, তাঁরা হলেন:১। মি. পি. সি স্যানাল ২। ড. আই. এইচ জুবেরী ৩। খান সাহেব আব্দুর রব চৌধুরী ৪। জনাব আবু হেনা ৫। মি. ডি. এল দাস ৬। অধ্যক্ষ সলমান চৌধুরী ৭। ড. হারুন অর রশিদ ৮। ড. নুরুর রহমান খান ৯। প্রফেসর গোলাম রসুল ১০। প্রফেসর আব্দুল মতিন চৌধুরী।

জনাব কাপ্তান মিয়ার জন্ম মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার ধনিউড়ি গ্রামের সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে। আজ বাদ মাগরিব চারাদিঘিরপাড় জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে নামাজে জানাজা শেষে মানিক পীর টিলায় ( সদ্য প্রয়াত স্ত্রীর করবের পাশে) তাঁকে সমাহিত করা হয়। মুরারিচাঁদ কলেজের অনেক গৌরবোজ্জল ইতিহাসের সাক্ষী মরহুম কাপ্তান মিয়া ব্যক্তিজীবনেও ছিলেন অত্যন্ত সফল।

সন্তান, উত্তরাধিকারী ছাড়াও দেশ-বিদেশে এ কর্মবীরের হাজারও স্বজন ও তাঁর গুণগ্রাহী মুরারিচাঁদ কলেজের অসংখ্য প্রাক্তন শিক্ষার্থী রয়েছেন।

বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী জনাব কাপ্তান মিয়ার মৃত্যুতে  এম সি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর সালেহ আহমেদ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *