#সিলেট বিভাগ

সিলেটের বন্যার আশংকা, প্রস্তুত আশ্রয়কেন্দ্র।

সিলেট প্রতিনিধি :
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে সিলেটে দুই দিন ধরে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। আজ শুক্রবার সকাল ছয়টা থেকে বেলা তিনটা পর্যন্ত ৯ ঘণ্টায় সিলেটে ১২৩ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এতে নগরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।

এদিকে সিলেটের দুটি সীমান্ত এলাকা গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জে ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে এলাকা প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। যদিও পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বলছে, বেলা তিনটা পর্যন্ত সিলেটের কোনো নদ–নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি। এরপরও দুই উপজেলার আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

পাউবো সূত্রে জানা গেছে, টানা বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সব নদ–নদীর পানি বেড়েছে। কোম্পানীগঞ্জের ধলাই নদের পানি ইসলামপুর পয়েন্টে আজ বেলা তিনটায় ১০ দশমিক ৪২ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সেটি ছিল ৭ দশমিক ২৩ সেন্টিমিটার। অন্যদিকে গোয়াইনঘাটের ডাউকি নদের পানি জাফলং পয়েন্টে বেলা তিনটায় বিপৎসীমার ১ দশমিক ৪৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সেটি ছিল বিপৎসীমার ৫ দশমিক ৩৫ সেন্টিমিটার নিচে। এ ছাড়া সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট ও সিলেট পয়েন্টে বৃহস্পতিবারের তুলনায় বেড়েছে। কুশিয়ারা নদীর পানিও ফেঞ্চুগঞ্জ ও শেওলা পয়েন্টে বেড়েছে। তবে কোনো পয়েন্টেই পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিজুন্নাহার বলেন, কোম্পানীগঞ্জে পাহাড়ি ঢলের কারণে ধলাই নদরে পানি বেড়েছে। এ জন্য উপজেলার ৩৫টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি উদ্ধার তৎপরতার জন্য প্রতিটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের সমন্বয়ে উদ্ধারকারী দলকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, আজ বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত আশ্রয়কেন্দ্রে ওঠার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।

গোয়াইনঘাটের ইউএনও রতন কুমার অধিকারী বলেন, পাহাড়ি ঢল নিয়ে উপজেলাবাসীর মধ্যে শঙ্কা আছে। জাফলং এলাকায় ভারতের পাহাড়ি ঢলের পানি বেড়েছে। তবে কোনো এলাকা প্লাবিত হয়নি। উপজেলায় ৩০টি আশ্রয়কেন্দ্র ও স্বেচ্ছাসেবীদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আনোয়ার উজ জামান বলেন, সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাটে পাহাড়ি ঢলের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করতে পারে এমন শঙ্কা আছে। এ জন্য দুই উপজেলায় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি পর্যাপ্ত শুকনা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিকেলে সিলেটের জেলা প্রশাসক কোম্পানীগঞ্জের একটি আশ্রয়কেন্দ্র ও সেখানকার পরিস্থিতি সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *