ভারতীয় গণমাধ্যমের বাংলাদেশ বিদ্বেষ !

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক খবর প্রকাশ করে প্রায় সময়। এখন সীমান্তের বেড়া দেয়া নিয়ে উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রচার করছে ক্রমাগত। বিশেষ করে পশ্চিম বঙ্গের টেলিভিশন চ্যানেলগুলো প্রতিদিন বিশেষ বুলেটিন ও টক শোর মাধ্যমে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে সাধারণ জনগণের মধ্যে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক খবর প্রচার করার প্রবণতা নিয়ে আলোচনা নতুন নয়। এটি দুই দেশের মানুষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি ও উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে। সীমান্ত ইস্যু এবং বেড়া দেওয়ার বিষয়টি একটি সংবেদনশীল বিষয়, যা দুই দেশের পারস্পরিক আস্থার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
এই ধরনের পরিস্থিতিতে উস্কানিমূলক বক্তব্য বা খবর প্রচার হলে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা উচিত-
তথ্য যাচাই করা: সংবাদ সত্যি কিনা এবং তা নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি থেকে উপস্থাপন করা হয়েছে কি না, তা যাচাই করা প্রয়োজন।
রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে আলোচনা: সীমান্ত সংক্রান্ত বিষয়গুলো দুই দেশের কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে সমাধান করা উচিত। গণমাধ্যমে উত্তেজনা বাড়ানোর পরিবর্তে সরাসরি আলোচনা কার্যকর হতে পারে।
গণমাধ্যমের দায়িত্বশীলতা: দুই দেশের গণমাধ্যমের দায়িত্ব হলো সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করা। কোনো পক্ষই যাতে উস্কানিমূলক আচরণে প্ররোচিত না হয়, সে বিষয়ে নজর দেওয়া দরকার।
জনগণের ভূমিকা: দুই দেশের জনগণের উচিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো থেকে বিরত থাকা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধা বজায় রাখা।
দুই দেশের সুসম্পর্ক দীর্ঘদিনের, এবং একে বজায় রাখা দুই পক্ষের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। সীমান্ত ইস্যু নিয়ে উস্কানিমূলক বক্তব্য বা প্রচার কেবল সমস্যা বাড়াবে। দুই দেশের জনগণ ও নেতৃত্বের উচিত সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে যাওয়া।