আজ বড়দিন।

আজ (২৫শে ডিসেম্বর) বড়দিন। খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবের দিন। বড়দিন উদযাপনে রাজধানীতে সেজেছে গির্জাগুলো।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে এবারের বড়দিনের উৎসব অনেকটাই সীমিত। পরিবেশের বিরুদ্ধাচরণ থেকে সরে আসা, ভোগবাদকে বিদায় জানানো আর সম্প্রীতি ও মিলনকেই বেশি প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে এবারের বড়দিনে।
খ্রিষ্টধর্ম মতে, ২০২০ বছর আগে ইসরায়েলের বেথলেহেম নগরে এক গোয়ালঘরে জন্মেছিলেন যিশুখ্রিষ্ট। তার আগমন উপলক্ষ্যে বহুবিধ প্রস্তুতি নিয়েছেন খ্রিষ্টভক্তরা।
গির্জাগুলোর সেজেছে আলো আর নানান সজ্জায়। যিশুখ্রিস্টের জন্মস্থানের সাজে সেজেছে পুরো গির্জা। প্রতীকি গোশালা, রঙিন কাগজ, ফুল ও আলোর বিন্দু দিয়ে ক্রিসমাস ট্রি সাজানো হয়েছে দৃষ্টিনন্দনভাবে। তবে করোনার কারণে এবারের উৎসবে রং অনেকটাই কম।
বড়দিনে আসা খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের একজন বলেন, প্রতিবার গান-বাজনা অনেককিছু হতো, অনেক আনন্দ করতাম। এবার যেহেতু করোনাভাইরাস, তাই সেক্রিফাইস তো করতেই হবে।
কাকরাইল সেন্ট মেরিস ক্যাথিড্রালের পাল পুরোহিত ফ্রান্সিস গোমেজ বলেন, এবারের বড়দিনে প্রার্থনায় থাকবে মহামারী থেকে মুক্তির আকুতি। যারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তাদের সুস্থতার জন্য, যারা মারা গেছেন তাদের আত্নার মাগফেরাতের জন্য, যারা অসুস্থ রয়েছেন তাদের সুস্থতা, ও এই ভাইরাসটা যেন পৃথিবী থেকে নির্মূল হয়ে যায় এই প্রার্থনাই করছি এবং করবো।
এবারের বড়দিনের খ্রিষ্টযাগসহ বড়দিনের সকল উদযাপনে সবার আগেই থাকছে স্বাস্থ্যবিধি মানার সতর্কতার বার্তা।