‘লঙ্কাধিপতি’ – শাহ আব্দুস সালাম।

পায়ে পিষে রীতি নীতি গণতন্ত্র মত
নিজ নামে বিজ্ঞাপনে রাজ্য ভবিষ্যত!
ভানুমতি লঙ্কাপতি! দিলেন ঘোষণা
অমান্য বিধি নিষেধে, ঘটে বিড়ম্বনা।
লঙ্কা রাজ্যে একমাত্র ‘আমি অধিপতি’
রাক্ষসি ক্ষমতা বলে! নেই ভয় ভীতি,
চলবে আমার কথা, যখন তখন,
বেসুরে বাজবে বাঁশি! এ যে বৃন্দাবন!
আজ্ঞাবহ পরিষদে শুনে নির্দ্বিধায়,
চাটুকারী মনোভাবে পূর্ণাঙ্গ শ্রদ্ধায়।
যদি কর্ণ কুহরে তা বিষাক্ত শমন,
তথাপি বিস্ময়ে মুঢ়! মন্ত্রণা ভবন!
লঙ্কার আমি রাজন, শুনো জনগণ,
সাধ্য কার, করবে কে? হুকুম লঙ্ঘন!
সীতা ধনে বাধা আজ ভাই বিভীষণ,
শক্ত হাতে প্রতিহতি করবো দমন।
রাম তো প্রকাশ্য শত্রু! জ্ঞাত সর্বজন
তবে কেনো গৃহ শত্রু ভ্রাতা বিভীষণ!
ক্ষোভ লোভ মোহ ভার,অবহেলা ক্ষুরে
ছিন্ন করে ভ্রাতৃ টান! চলে গেল দূরে।
বিক্ষত করতে প্রাণ প্রস্তুতি গ্রহণ,
সঙ্গে নিয়ে সাঙ্গ পাঙ্গ, বিচিত্র বাহন।
“গৃহ শত্রু বিভীষণ” গেয়ে গেয়ে গান
অবশেষে নিক্ষেপণ বিনাশিতে প্রাণ।
প্রথম ছুরিকাঘাতে অদৃশ্যে হনন!
দ্বিতীয়ার তীক্ষ্ম বাণ প্রকাশ্য মরণ।
বক্ষাঘাত সহোদরে চরণ প্রহারা,
ত্রৈমাসিক শরাঘাতে! সীতা শক্তি দ্বারা।
বিশ্বাস বিদ্বেষে পুড়ে ভ্রান্তির অনলে
চিরতরে ভ্রাতৃবোধ, গেল গঙ্গা জলে।
রাবণে বিভক্তি শুধু পর স্ত্রীর মোহ,
দুই রাজ্যে ধ্বংস লীলা অহেতুক দ্রোহ।
রাবণ রাক্ষুসে তুমি! তৃপ্ত নহে মন,
মিথ্যা প্রেমে মগ্ন তুমি? সত্যে বিসর্জন।
লঙ্কা রাজ্যে যতদিন তুমি রবে রাজা,
পরাভবে পরাধীন টের পাবে প্রজা!