গদ্যের ন্যায় পদ্য – খাইরুন নাহার চৌধুরী

শূন্য ঘরের আলোছায়ায় মধুরও তোমার অবাধ আসা যাওয়া ।
হোক না সে ঘর অন্ধকারে ডুবা, হোক না আকাশ মলিন মেঘে ঢাকা।
কেউ না আসুক তুমি তো ঠিক আসো।
হাত বাড়ালে চুপিচুপি বলো,এই তো আমি, আমায় ছুঁয়ে দেখো।
তোমার এই আসা যাওয়ার খেলায়, তোমার এই উদাসীনতা আনমনা ভাব ,ভীষণ ভীষণ ভাবায় ।
অলকা নন্দার পাতায় পাতায়, বিন্দু বিন্দু জলের ফোঁটায়, কিংবা অচেনা পাখি উড়ে যেতে যেতে যে ছায়া ফেলে ,ঠিক সেখানটাতে আমি তোমায় খুঁজি ।
তোমায় পাই বা না পাই,তবুও তোমায় খুঁজে বেড়াই, ঝরা বকুলের মিঠে কড়া সুবাসে ।
মেঘে ঢাকা এক চিলতে চাঁদের আলোয়, জানলার কাঁচ বেয়ে পড়া জলের ধারায়, আমার অবিন্যস্ত শাড়ির আঁচলে,মাটির সোঁদা গন্ধে । আমি তোমায় খুঁজি অতল অন্ধকারে।
কখনও সখনও অঙ্গে জড়াও,এলোমেলো করো আবার পরিপাটি করো।
তোমায় ছুঁতে গেলে পালিয়ে যাও মাধবী লতার ঝোপে।
কখনও ঝুমকো জবায় কখনও দোলন চাঁপায়,কখনও জোনাকির পাখায় , নদীর ঘাটে, ঘোমটা নাওয়ের পালে,শ্যামলা মেয়ের এলো কেশে,কৃষান বধুর তালের পাখায় ।
তুমি সুখের খবর আনো,তুমি পোড়া গন্ধে দুখের খবরও আনো।
তোমায় যায় না ধরা, যায় না ছোঁয়া ।
অনুভবে সকাল সাঁঝে পরশ বুলাও দেহ মনে।
শীতল করো তপ্ত তনু,আকুল করো অন্তরও।
মধুরও হে মধুরও !