“কালের পরিক্রমা” – শাহ আব্দুস সালাম।

ভুলতে বিগত বর্ষ কালাধিকরণ
বারো মাস পরে করি বছর বরণ।
শত অব্দে যদি করে শতাব্দী গমন
তবু তাতে নবানন্দে করছি ভ্রমণ।
অব্দ অব্দ সহস্রাব্দ আদিকাল হতে,
ত্রিকালের অক্ষরেখা এক কক্ষপথে।
দিবা নিশি আবর্তিত বৃত্ত পথ ধরে
তবে কেন প্রাচীন তা অতীতের ঘরে?
কাল আপেক্ষিক হেতু গতিবেগ ফাঁকে
কাল পরিক্রমা তাই নিত্যমান থাকে।
তবু যে বেহুশ বিশ্ব! নব অভিনয়ে,
নতুনে পাগল থাকে নিত্য পরিচয়ে।
আজ যা নতুন বলে করি আবাহন
ভবিষ্যত ডাকে তারে বলে পুরাতন!
কাল বিবর্তনে যদি বর্ষ ফিরে আসে
ডাকতে নতুন নামে সবে ভালোবাসে।
আখ্যা ব্যাখ্যা কতকিছু শত অভিধায়
গল্প কল্প র’চে যায় গ্রন্থের পাতায়।
ইতিহাস বলে তারে বর্তমানে পড়ি
প্রয়োজনে পরিবর্তন! অল্প অল্প গড়ি।
গগনে একটা সূর্য কোটি বর্ষ ধরে
পুরাতন হয় না সে, ক্ষণিকের তরে।
সর্ব কালের আবর্ত সূর্য হতে ঘটে
তবুও সূর্যি মামা সাক্ষী গোপাল বটে!
কখনো বদল তার সম্ভব যে নয়,
পুরাতন নাম দিতে মনে জাগে ভয়।
নতুনেরে তাই সবে করি আহবান
পুরাতন ভুলে যেতে গাই নব গান।
অতীতের যত কথা দগদগে স্মৃতি
নতুনের স্পর্শে ভুলি অতীতের গীতি।
প্রাচীন আছে বলেই নবীন উদয়,
তা না হলে কে গাইত নতুনের জয় ?
আজ যা নতুন বলি, কাল পুরাতন
কাল পরিক্রমায় তা বিচিত্র ধরণ।
অতীতের গৃহে আছি পুরাতন তলে
তবু মোরা অবগাহি নতুনের জলে।
বর্তমানের ভিত্তি যা ,অস্তিত্বে বিরাজ
অতীত গর্ভাশয়ে তা ঘোমটা সলাজ।