#রাজনীতি

এরশাদ ও আমাদের উপলব্দি। সাকি চৌধুরী ।

( ছবিতে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা এবং জাতির জনকের হত্যাকারী দুই কর্ণেলের মধ্যেখানে খুশগল্প রত সুদর্শন প্রয়াত লে জে হুমো এরশাদ )

কথাগুলো বহুলাংশে সত্য ।

আমার মনে পড়ে , পরিবহনের ইন্ফ্রাট্রাকচার তৈরী না হলে এবং প্রশাসনের ও বিচার বিভাগের বিকেন্দ্রীকরণ না হলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে না । এই বিষয়টি উনিই প্রথম বুঝেছিলেন ।

উনার রাজত্বকালে মানুষ অপেক্ষাকৃত নিরাপদে নিজের বাড়িতে ঘুমাতে পারতো।

উনি একটি সফল ঔষধ নীতি তৈরী করেছিলেন , যাহা বাংলাদেশকে আজ কেবল ঔষধ শিল্পে স্বাবলম্বীই নয় রপ্তানিকারক দেশ হিসাবে বিশ্বে পরিচিত করেছে । যদিও এটার উদ্দেশ্য অন্য কিছু ছিল ।

উনি অত্যন্ত সফলতার সাথে প্রমাণ করিয়ে দেখিয়েছিলেন যে , অন্য সব পণ্যের মত রাজনীতিবিদদের ও বেঁচা-কেনা যায় ।

উনিই প্রথম রাজনীতিবিদ যিনি রাষ্ট্র নামক একটি বিমূর্ত প্রতিষ্ঠানকে একটি ধর্ম দিয়ে বহু নাগরিকদের বোকা বানিয়েছিলেন । যে বিষয়টি উনার আগে বিশ্বের কোন ধর্মপ্রচারক কখনো চিন্তা করেন নি !

উনিই প্রথম বাংলাদেশে দূর্নীতিকে একটি প্রতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিলেন । জনগণের ভোটে নির্বাচিত বাংলাদেশের বেসামরিক প্রেসিডন্ট জিয়ার হত্যার পর হত্যাকারী সকল সামরিক ব্যক্তিদের       ( যাদের প্রায় সবাই বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন । আমার বন্ধু বীর মুক্তিযাদ্ধা ক্যাপ্টেন ছাত্তার সহ ) দেশের আইনের আওতায় না এনে দ্রুত সামরিক আদালতে সোপর্দ করে প্রচন্ড গোপনীয়তার সাথে মৃত্যদণ্ডের ব্যবস্থা করে জিয়া হত্যার সকল ষড়যন্ত্র সফল ভাবে ধামাচাপা দিতে সক্ষম হয়েছিলেন ।
যে ষড়যন্ত্রের বিচার তিন তিনবার ক্ষমতায় এসেও জিয়ার দল বিএনপি করতে পারে নি !বা করার ইচ্ছা প্রকাশের সাহস পায় নি !

তিনিই বুদ্ধিজীবী হত্যার আসামীদের অন্যতম মৌলানা মান্নানকে শিক্ষামন্ত্রী করে দেশে কওমী মাদ্রাসা শিক্ষা প্রসারের পথ সুগম করেছিলেন ।

ক্ষমতা রক্ষা এবং সুসংহত করা ও নিজের নিরাপত্তার প্রশ্নে নিষ্ঠুরতায় উনি অন্য সকল স্বৈর শাসকদের চেয়ে কম ছিলেন না ।

ক্ষমতায় না থেকেও নিজের প্রয়োজনে নিজের সন্তানের মায়ের আঙ্গুলের নক উঠিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে পিছ পা হন নি ।

উনিই বিশ্বে একমাত্র স্বৈরশাসক ছিলেন যিনি চিৎকার করে বক্তৃতা দিতেন না বা কথা বলতেন না।

উনার তৈরী ইসলামিক রাষ্ট্রে সারাজীবন একজন সফল ক্যরিসমাটিক প্লে-বয়ের দীর্ঘ জীবন যাপন করে গেছেন কিন্তু বাংলাদেশের কোন ওলামায়ে কেরামদের সামান্যতম সমালোচনার সম্মুখীন হন নি কখনো !

একটি গণআন্দোলনে পতন হওয়ার পর দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর রাজনীতির কৌশলী হিসাবে ক্ষমতার শীর্ষে দাবার চাল দেওয়ার মত যোগ্যতা এই পৃথিবীতে অন্য কোন স্বৈরশাসকের ছিল বলে আমার জানা নেই ।

এতসব বিভিন্নমুখী গুণের অধিকারী এই নঠবর ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বের প্রথম মৃত্য দিবসে উনার আত্মার শান্তি কামনা করছি ।

১৯৯০ সালের ১৪ই জুলাই লেজে হোম মারা গেলে অন্যভাবে লেখা যেত অন্য ছবি দিয়ে ।

এখন বর্তমান সরকারের বিশেষ দূতের প্রথম মৃত্য বার্ষিকীতে এর চেয়ে বেশী কিছু করার বা লেখার কোন সুযোগ আসলেই নেই ।

সাকি চৌধুরী, জার্মানী।

 

 

 

 

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *