#বিনোদন

জনি ডেপের শারীরিক অত্যাচারের বর্ণনা দিলেন অ্যাম্বার হার্ড।

বিয়ের দুই বছরের মধ্যে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন হলিউড অভিনেতা জনি ডেপ ও অ্যাম্বার হার্ড। ২০১৫ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর ২০১৭ সালে দাম্পত্যে ইতি টানেন তারা। এরপর দুইজনই দুইজনের বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসাসহ একাধিক অভিযোগ এনে একে অপরের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন।

সাবেক স্ত্রী অ্যাম্বারের বিরুদ্ধে দিনের পর দিন শারীরিক অত্যাচার ও মারধরের অভিযোগ এনেছেন জনি।

একই সঙ্গে ৫ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়েছেন অ্যাম্বারের থেকে। অন্যদিকে জনির বিরুদ্ধেও শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারের অভিযোগ তোলেন অ্যাম্বার। সম্প্রতি তাদের মানহানির মামলার শুনানিতে দাম্পত্যের গোপন কাহিনি ফাঁস হচ্ছে আদালতে।

আদালতে জনির বিরুদ্ধে শারীরিক অত্যাচারের বর্ণনা করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন অ্যাম্বার।

তার কথায়, দিনের পর দিন মত্ত অবস্থায় তাকে মারধর করেছেন জনি। ভার্জিনিয়ার জুরিদের সামনে তিনি বলেন, সাবেক স্বামী জনি ডেপের ট্যাটু নিয়ে হাসায় কীভাবে তাকে চড় খেতে হয়েছিল। জনি ডেপের করা মানহানির মামলায় গত বুধবার প্রথমবারের মত আদালতে সাক্ষ্য দেন তিনি।

সাক্ষ্য দিতে গিয়ে আবেগ আক্রান্ত অ্যাম্বার হার্ড আদালতকে বলেন, জনি ডেপের সঙ্গে তার প্রেম ছিল জাদুর মত, কিন্তু হঠাৎই তা সহিংস হয়ে ওঠে।

সাবেক স্বামী প্রথমবার তাকে শারীরিক আঘাত করেন, যেদিন তিনি জনি ডেপের শরীরে আঁকা একটি ট্যাটু নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন। তিনি জানতে চেয়েছিলেন, মলিন হয়ে যাওয়া ওই ট্যাটুতে কী লেখা আছে। উত্তরে ডেপ বলেছিলেন- ‘উইনো’। উত্তর শুনে হেসে ফেলেছিলেন হার্ড, ভেবেছিলেন এটা হয়ত কোনো কৌতুক।
তিনি জানান, এরপরই সে আমার গালে চড় মারল।

আমি বুঝে উঠতে পারছিলাম না হঠাৎ কী ঘটে গেল। আমি শুধু অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিলাম। হার্ড তার সাক্ষ্যে বলেন, এরপর তাকে আরও দুবার চড় মারেন ডেপ। বলেন, তোর কাছে এটা হাসির কথা মনে হল?”
উল্লেখ্য, ৫৮ বছর বয়সী জনি ডেপ এর আগে আদালতে দেওয়া সাক্ষ্যে দাবি করেছিলেন, তিনি কখনো অ্যাম্বার হার্ড বা কোনো নারীকে আঘাত করেননি বরং তার সাবেক স্ত্রীই তাদের সম্পর্কের অনৈতিক সুযোগ নিয়েছে।

২০১৮ সালে তার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন ডেপ। এরইমধ্যে আদালত তার জবানবন্দি শুনেছে। এখন চলছে তার সাবেক স্ত্রীর সাক্ষ্যগ্রহণ।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *